‘প্রিয় অভিভাবক, অনুগ্রহ করে লিখে রাখুন, আপনার শিশুটিকে রাতে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ঘুম পাড়িয়ে দিন। এতে তার ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবে এবং তার গড়ন হবে হালকা-পাতলা।’ নতুন একটি গবেষণায় এ কথা বলা হয়েছে। মালয়েশিয়ার ডেইলি এক্সপ্রেস পত্রিকা গবেষণা প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে।
তাড়াতাড়ি ঘুমাতে যাওয়া এবং খুব সকালে উঠে পড়া স্বাস্থ্যের জন্য ভালো—এই আপ্তবাক্যটি প্রায় সবারই জানা এবং তা আবাল-বৃদ্ধ-বনিতা সবার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। কিন্তু নতুন এই গবেষণায় শিশুদের তাড়াতাড়ি ঘুমাতে যাওয়ার বিষয়টিতে জোর দেওয়া হয়েছে।
গবেষকেরা দুই হাজার ২০০ শিশু-কিশোরের দৈনন্দিন ঘুমাতে যাওয়া ও হাঁটাহাঁটির সময়ের ওপর পরীক্ষা চালিয়েছেন। এদের বয়স নয় থেকে ১৬ এর মধ্যে। পরীক্ষায় দেখা যায়, যারা দেরি করে ঘুমায় ও দেরি করে ঘুম থেকে ওঠে, তারা তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে সকাল সকাল উঠে পড়াদের চেয়ে দেড়গুণ মোটা। ঘুমানোর ক্ষেত্রে নিয়ম মানা শিশু-কিশোরদের চেয়ে এই রাতজাগা শিশুদের ২ দশমিক ৯ গুণ সময় কাটে টেলিভিশন ও কম্পিউটারের সামনে। এরা শারীরিক দিক থেকেও প্রায় দ্বিগুণ হারে নিষ্ক্রিয়।
গবেষক দলের প্রধান ইউনিভার্সিটি অব সাউথ অস্ট্রেলিয়ার ক্যারোল মাহের বলেন, উভয় ধরনের শিশুই গড়ে একই সময় ঘুমায়। তিনি বলেন, ‘সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিজ্ঞানীরা উপলব্ধি করছেন, কম ঘুমানো শিশুদের শারীরিক নানা সমস্যা হতে পারে। আমাদের গবেষণায় এতটুকু দেখানোর চেষ্টা করেছি যে সময়মতো ঘুমানোর বিষয়টি অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।’
সূত্র: প্রথমআলো.কম
0 comments:
Post a Comment