Featured Video

Pages

Friday, March 04, 2011

হবেই জয়



শিমমি

নদী, এঁকেবেঁকে চলে-গন্তব্যহীন
চঞ্চল গতিতে
যেখানে উচ্ছ্বাস-আনন্দ অবিরত
আছে কাছে টানার আকাঙ্খা
নেই হারাবার ভয়;
পথ, পথিকের জন্য বসে নেই
চলছে তো চলছেই-অজানার পথে
আছে জানার-চিনার ইচ্ছে
হবে না কভু ক্ষয়;
বই, এক সমুদ্র জ্ঞান রাশি
নেই তার সীমানা
দৃষ্টিই কেবল ফেলা যায়
কিন্তু ফুরোবার নয়;
মানুষ, সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীব
রহস্যময়তায় পরিপূর্ণ
সবকিছুই তাকে টানে-
যেখানে মত মাতাল হয়।
ডিসেম্বর, ২০০৭।

নিরবতা



শিমমি

মা, মাগো-আবারো তুমি ফেললে দীর্ঘশ্বাস!
বুকের হাহাকার ধ্বনি-আজো কেন বইছে তোমার হৃদয়ে?
আজো কেন তপ্ত বায়ু জ্বালিয়ে যাচ্ছে রাজ্য
ভাসিয়ে দিচ্ছে, উড়িয়ে নিচ্ছে তোমার সকল স্বপ্ন।
তুমি আজো কেন মেলছো না তোমার পাখা
দখিণ হাওয়ায় ফেলছো না কেন তোমার ঝর্নামাখা হাসি
মেঠোপথে মাড়াচ্ছো না তোমার পদধুলি
তুমি কেন একলা বসে বদ্ধঘরে?
তোমার দৃষ্টি গভীর হয়ে
বিধছে মা আমার বুকে;
প্রশ্নভরা ঐ দু’টি চোখে
এবার শব্দ দাও।
মা, মাগো-একটি শব্দ আমার জন্য
দেশের জন্য, অনাগত ভবিষ্যতের জন্য
অন্তত: একটি বারের জন্য দাও
          ?
          ?
          ?
         তোদের সামনে এখনো সেই রাজাকারের দল
          বলিষ্ঠ পায়ে হেটে বেড়ায়!!
          তো-
          সেখানে আমি কোথায় দাঁড়াবো, বল?

স্বপ্ন



শিমমি
ছোটবেলার স্বপ্ন আর বাস্তব
বহুত ফারাক
তবুও স্বপ্ন তার ছবি আঁকে
          তুলিতে রঙ নেই
          কাগজ তাই ফাঁকা
          মনের রঙে তা
          হচ্ছে না আঁকা
জলেতে ভেলা ভাসে
ভাসতে চাই আমি
          জল আছে
          তরী আছে
          নেই শুধু
          আমি
উচু পাহাড়ে দাঁড়াও
দেখবে দূর দিগন্ত
হাত দিয়ে ছুঁতে ইচ্ছে করবে আকাশটাকে
          আমারও ইচ্ছে করে
          হারাবো প্রকৃতির মাঝে
          ছুঁবো বসন্তকে
প্রাণের মাঝে প্রাণ আছে
মনের মাঝে মন
আমার ভিতর আমি নাই
বিষাদগ্রস্থ তাই ক্ষণ
          অবহেলায় তাই প্রতিটি ক্ষণ
          আলোচনায় অস্থির
নীল আকাশ নীল দিয়ে বলে
ধরে রাখো প্রিয় শির
প্রকাশে বাঁধা
আবেগী কথন
ত্যাগে ত্যাগে তাই
ছিন্ন করে বাধন
          এভাবেই চলছে জীবন
          এভাবেই কি যাবে?
          সাহস দিয়ে এগিয়ে নিতে
          আসবে তুমি কবে?

জীবনের এক প্রান্তে



শিমমি
এক এক করে হারিয়ে যাচ্ছে সব
সাজানো সংসার বাস্তবের কঠিন গ্যাড়াকলে পৃষ্ট
তাই হ-য-ব-র-ল দেখা দিয়েছে,
শূণ্যতা এখানে আঁকড়ে আছে স্ব-মনে
তার প্রতিই সব আয়োজন, কিংবা লীলা
আবেগ যেখানে দুমড়ে মুচড়ে পায়ে পৃষ্ট;
যেন পচন ধরেছে!
এই সমাজ-সংসার আর কি-ই-বা করবে;
মূল্যহীনতার মূল্য আর অভাবের স্বভাবে
নীচতা-অনীচতা থেকে শুরু করে সম্মান হানিকর পর্যন্ত
যতদূর যাওয়া যায়, ততদূর অসহায়!
কিছুই করার নেই, ব্যর্থ প্রয়াস।
জীবনের শ্লোগান ‘বজ্রমুষ্ঠি শক্ত ঘাটি’
ভাঙ্গন নয়, পচন ধরেছে সেখানে,
আর আমাদের মন প্রাণ যেখানে
নিজেকে দিতে প্রস্তুত-সদা বিসর্জন। 2001

পুতুল



শিমমি
পুতুল খেলা দেখতে আর ভাল লাগে না
আজ বন্ধুত্ব পুতুলের কাছে বন্দী;
মোমের পুতুল, ননীর পুতুল
আর আজ-দেখা যাচ্ছে টাকার পুতুল;
পুতুলে পুতুলে ছেয়ে গেছে দেশটা
হেট হচ্ছে শির যেখানে সেখানে;
তাই একটা জোর করেই নিজেকে
ইচ্ছের বিরুদ্ধে লুকিয়ে রাখতে হয়। 

আবদ্ধ হৃদয়



শিমমি

সবাই যখন কাঁদে
তখন হাসি পায়
মেকি কান্না মানুষের অভ্যেস!

হঠাৎ এ কথা?

আজকালকার মানুষের চলাফেরা, কাজকর্ম ও আবেগের ঝুলিগুলো
একেবারে গদবাধা রুটিন হয়ে গেছে,
শৃঙ্খল দ্বারা আবদ্ধ প্রতিটি ঘর;
শিকলে বাঁধা যেখানে মানুষ
সেখানে অতিরিক্ত কিছু দেখাটা-করাটা
আজ পাপ, অপ্রয়োজনীয়।

তার মানে?

নতুবা, কেনইবা সহযাত্রীর মৃত্যুযন্ত্রনা
পৌঁছে না অপর সহযাত্রীর কাছে;
সাহায্য-সহানুভূতির হাতগুলো গুটিয়ে
আজ কঠিন অভ্যেসে বন্দী। 

মানসী



শিমমি
সারাদিনের চিন্তা চেতনা
রাতে যখন বাস্তবে রূপ নেয়
তখন আমি অন্য রাজ্যে,
আমার সুখ-দু:খ, আবেগ-অনুভূতি
এক রঙিন খেলায় তখন মগ্ন;
বোঝা দায়-সবি তার মানসী।
ত্রিভুজের মাঝে আটকা পড়েছে মন,
যেখানে ২৪ ঘন্টার মুহূর্ত বিরাজমান
রঙমাখা জীবনে মনটা যেন চিরসবুজ
প্রকৃতির মতো উদার হয়ে
রোদের মতো আলতো আদুরে
ছোঁয়া দিয়ে বলে যায়-
‘ছোট কিংবা ক্ষুদ্র বলে কিছু নেই।’
2001

বিশ্বজয়ী



শিমমি
চোখের ইশারাতে যে কথা থাকে তোমার
সেখানেই যেন হারাই আমি
হাসি যখন তোমার ঝড়ে পড়ে
মনে হয় বিশ্বজয়ী আমি। 

শখের পালা



শিমমি
ধাপে ধাপে নিত্য পথচলা
যার প্রতি ধাপে নতুন সৃষ্টি
সৃষ্টির উন্মাদনায় উন্মত্ত প্রাণ
দ্বিধাহীন ভাবে ছুটে চলে গন্তব্যে
পরখ করতে চায়না ত্রিকাল
এভাবেই চলে শখের
সূচনা-সমাপনের পালা। 

কোলাহলে একা



শিমমি
এ ঘরে নিরবতা নেই
আছে বারো রকমের বাজনা
উথাল পাথাল নাচ জানে সবাই
ধরে নানা রকম বায়না।
এখানে আলোচনা নেই
আছে সমালোচনার বাহার
নীতিহীনতার নীতি যেখানে
ভাঙ্গে মাথা সবার।
এ ঘরে নর-নারী সবারি
কথা ভালো মানুষের
আপন কখনো পর, কখনো বিপরীত
তবু হয়না কেউ কাছের।
এ ঘরে সর্বজ্ঞানী
মারপ্যাচে সব করে ফাঁকা
এ ঘরেই একসময় দেখা যায়
হয়ে গেছে সবাই একা। 

ঢেউ


শিমমি
মাস্তান হওয়ার সাধ আছে বৈকি
তবে তা বেলালের মতো বেহায়পনা ভাব প্রকাশ করে
স্ব-মনে মাকড়সার জাল বুনবো
তা নয়;
তিন বছরের সারে যার প্রাপ্তি
সময়ের কাঙ্গালপনা, অসহায়ত্ব
এবং চঞ্চল ঢেউয়ের মন্থরতা;

এভাবে বেলা কাটানো অসাড়তার পরিচায়ক।

তাই অশান্ত মনকে হারাবো না
পরবাসী শামুকের মায়াজালে
থাকুক না কষ্ট-থাকুক হৃদয়ে
অমরত্ব পাক তা স্ব-মনে;
জমা থাক সব কায়া-মায়া
আজ বিলাবো সকলের তরে।
হবো-মাস্তান,
হবো আবার মাশুক হৃদয়ের অধিকারী।

অহংবোধ, তোমার জন্য


শিমমি
চাঁদের উপর মাদুর বিছাবো
আর আসন পেতে বসাবো
এ নিছক ভ্রান্তি;
সাদা মেঘের ভেলার মতো
আকর্ষিত হয়ে পথ চলবো
তা হবে হাস্যকর;
মানুষ-মানুষের চিরায়ত অহংবোধের মতো
আমার এ বাসনা শুধু তোমার জন্য।

জীবনের এক প্রান্তে


শিমমি
এক এক করে হারিয়ে যাচ্ছে সব
সাজানো সংসার বাস্তবের কঠিন গ্যাড়াকলে পৃষ্ট
তাই হ-য-ব-র-ল দেখা দিয়েছে,
শূণ্যতা এখানে আঁকড়ে আছে স্ব-মনে
তার প্রতিই সব আয়োজন, কিংবা লীলা
আবেগ যেখানে দুমড়ে মুচড়ে পায়ে পৃষ্ট;
যেন পচন ধরেছে!
এই সমাজ-সংসার আর কি-ই-বা করবে;
মূল্যহীনতার মূল্য আর অভাবের স্বভাবে
নীচতা-অনীচতা থেকে শুরু করে সম্মান হানিকর পর্যন্ত
যতদূর যাওয়া যায়, ততদূর অসহায়!
কিছুই করার নেই, ব্যর্থ প্রয়াস।
জীবনের শ্লোগান ‘বজ্রমুষ্ঠি শক্ত ঘাটি’
ভাঙ্গন নয়, পচন ধরেছে সেখানে,
আর আমাদের মন প্রাণ যেখানে
নিজেকে দিতে প্রস্তুত-সদা বিসর্জন। 2001

মা, আমি ভালো আছি


শিমমি
চোখ বুঝলেই মায়ের ছবি আঁখিতে ভাসে
অবুঝ হৃদয় কাঙ্খিত মনে-আনমনে তারি ছবি আঁকে
নি:সঙ্গ ক্ষণে জড়িয়ে ধরে
অঝোর ধারা-কপোল গড়িয়ে পরে
তবুও বলি মা, মা-মাগো, আমি ভালো আছি।
মিষ্টি সুরে আদর করে তোমার সেই ডাকাডাকি
কখনো ধমকের সুরে, কখনো অভিমানে
তোমার সেই পাগলামি শাসনের বেড়াজালে
কতই না বুক ভাসিয়েছি, ভালবেসেছি
মনে, মনে পড়লেই মা-মাগো আমি কাঁদি।
চোখের জল আজ খুবই নিষ্ঠুর মা
বাতাসের আলতো ছোঁয়া খুবই অসহ্য মা
যন্ত্রণাময় মনে হয় পাখিল কলতান মা
তোমায় ছাড়া সবকিছুই বেদনাময়।
ঘুম পাড়ানো গান নেই
নেই শাসনের ঘুম ভাঙ্গানি
আদর করে আজ কেউ খাওয়ায় না
ভালবেসে ডাকে না কাছে
হাহাকার চোখ তাই তোমায় খুঁজে মাগো
মা, তোমায় ভালবাসি।
সবকিছুর মাঝে তুমি আছো
তোমার কোলে আমি
তোমার ভালবাসায় যেন মাগো
শিক্ষার আলোয় আলোকিত হতে পারি।
জানি তুমি চলে গেছো অনেক দূরে
আসবে না ফিরে আর
তোমার সিক্ত ভালবাসায় যেন মাগো
জয় করি মন সবার।
(কবিতাটি অকালে মাতৃহারা মারজিয়া নামের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রীর জন্য লেখা হয়েছে ২০০৮ সালে)উৎসর্গ করছি সকল সন্তানকে যারা মাকে ভালোবাসে ও সম্মান দিতে জানে। 

Thursday, March 03, 2011

ভালবাসা



শিমমি

কথার পিঠে কথা চলে
শেষ হয় না
রাগের উপর অভিমান চলে
দোষ হয় না।
সামনে পিছনে ক্ষোভ চলে
ভিতরে ভিতরে মায়া
দেখাদেখি বন্ধ হলে
খুঁজে তার ছায়া।
আছে আনন্দ
আছে অজানা সুখ
প্রিয় বলেই তার
দেখতে চায় মুখ।
সুখের হাতছানি আহ্লাদের টানে
অভিমান হাত বাড়ায় হতাশার বাণে।
দিন যায় মাস যায়
মনে জাগে আশা
প্রিয় এই সম্পর্কের নাম
তাই ভালবাসা।

হবেই জয়



শিমমি

নদী, এঁকেবেঁকে চলে-গন্তব্যহীন
চঞ্চল গতিতে
যেখানে উচ্ছ্বাস-আনন্দ অবিরত
আছে কাছে টানার আকাঙ্খা
নেই হারাবার ভয়;
পথ, পথিকের জন্য বসে নেই
চলছে তো চলছেই-অজানার পথে
আছে জানার-চিনার ইচ্ছে
হবে না কভু ক্ষয়;
বই, এক সমুদ্র জ্ঞান রাশি
নেই তার সীমানা
দৃষ্টিই কেবল ফেলা যায়
কিন্তু ফুরোবার নয়;
মানুষ, সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীব
রহস্যময়তায় পরিপূর্ণ
সবকিছুই তাকে টানে-
যেখানে মত মাতাল হয়।
ডিসেম্বর, ২০০৭।

 
Design by Free WordPress Themes | Bloggerized by Lasantha - Premium Blogger Themes | cheap international calls