Featured Video

Pages

Tuesday, April 12, 2011

পুরুষের চুল পড়া


চুল পড়া একটি স্পর্শকাতর সমস্যা। ছেলেদের চুল পড়ে যাওয়া বা টাক সমস্যা নিয়ে অনেকেই বিব্রত বা বিরক্ত। চুল পড়ার কারণ নিয়ে অনেক গবেষণা হয়েছে বা হচ্ছে। চিকিৎসাশাস্ত্রে বলা হয়, চুল পড়ার কারণ বংশগত বা হরমোনজনিত। ছেলেদের চুল পড়া বা এনড্রোজেনিক এলোপিসিয়ার মূল কারণ ডাইহাইড্রোক্সি টেসস্টোসস্টেরন বা ডিএইচটি। ডিএইচটি একটি পুরুষ হরমোন। পুরুষ হরমোন টেসস্টোসস্টেরন থেকে আলফারিজাকটেজ এনজাইমের সাহায্যে তৈরি হয় ডিএইচটি।
ডিএইচটি চুলের ফলিকলের গোড়ায় গিয়ে এদের বৃদ্ধি রোধ করে এবং রক্ত সঞ্চালন কমিয়ে দেয়। এভাবেই চুল পড়তে শুরু করে। সুতরাং ডিএইচটি বেড়ে গেলে চুল পড়তে শুরু করে এবং একপর্যায়ে টাকের সৃষ্টি হয়।

চুল বৃদ্ধি বা গজানোর জন্য একটি চক্র বা চুলের জীবন চক্র রয়েছে। এই চক্রের তিনটি পর্যায় রয়েছে। বৃদ্ধির সময়কে বলে এনাজেন। এনাজেন থেকে বছর স্থায়ী হয়। মাথার ৯০ শতাংশ চুল এনাজেন বা বৃদ্ধি হতে থাকে। দ্বিতীয় পর্যায়ে ক্যাটাজেন। এটি একটি অস্থায়ী পর্যায়। এটি কয়েক সপ্তাহ স্থায়ী হয়। সর্বশেষ পর্যায় টেলোজেন। টেলোজেন থেকে মাস স্থায়ী হয়। সময় কিছু চুল পড়ে যায় এবং ওই সব ফসিকল থেকে নতুন চুল গজায়। টেলোজেন পর্যায় দীর্ঘতর হলে চুল বেশি পড়ে যায়। ছাড়া চুলের ফসিকল শুকিয়ে গেলে নতুন চুল নাও গজাতে পারে। ডিএইচটিকে বাধা দেয় এমন ওষুধ ব্যবহারে চুল পড়া রোধ করা যেতে পারে। শরীরের ডিএইচটি মাত্রা নিয়ন্ত্রিত হলে চুল পড়া কমবে। বর্তমানে ধরনের ওষুধ ব্যবহারে চুল পড়ার চিকিৎসা চলছে। তবে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী এসব ওষুধ ব্যবহার করা উচিত।


ডাঃ ওয়ানাইজা
চেম্বারঃ জেনারেল মেডিক্যাল হাসপাতাল (প্রাঃ) লিঃ, ১০৩, এলিফ্যান্ট রোড (তৃতীয় তলা), বাটা সিগন্যালের পশ্চিম দিকে, ঢাকা।
দৈনিক নয়া দিগন্ত, ১৯ এপ্রিল ২০০৯।

0 comments:

Post a Comment

 
Design by Free WordPress Themes | Bloggerized by Lasantha - Premium Blogger Themes | cheap international calls