Featured Video

Pages

Saturday, April 23, 2011

হিন্দুরা কি গরুর মাংস আহার হিসেবে গ্রহণ করে?


ধর্ম  মানুষকে কত শিক্ষায় না দেয়। আচার-আচরণ থেকে শুরু করে খাওয়া-দাওয়া, রীতি-নীতি ইত্যাদি সবকিছুই ধর্মের বিধান মেনে মানুষ চলাফেরা করে। আদিকাল থেকে ্এই ধর্মের চলন শুরু হয়ে আজ অবধি তার নিজস্ব সত্ত্বায় বিকশিত হয়ে যাচ্ছে।

এর মধ্যে গোড়ামি, কুসংস্কারও যে নেই তা কেউ গর্ব করে বলতে পারবে বলে মনে হয় না। অনেকটা জানার তীব্র আকাঙ্খায় কিছু পড়াশুনা ও আলোচনা করার চেষ্টায় ব্রত থেকে একটি ইন্টারনেট সংগ্রহ আপনাদের সামনে তুলে ধরছি। পাঠক পড়ে স্ব-মতামত দিলে খুশি হবো, না দিলেও ক্ষতি নাই। তবে যাচাই করে দেখতে তো ক্ষতি নাই। 

হিন্দু ধর্মে গরুকে 'পবিত্র মাতা' বলা হয়ে থাকে। গরু নানাভাবে মানুষের উপকার করে বলে হিন্দু ধর্মে গো-হত্যা নিষিদ্ধ। তবে গরুর চামড়া দিয়ে জুতো তৈরী করে তা ব্যবহার করা কিন্তুহিন্দু ধর্মে নিষিদ্ধ নয়। 


অবশ্য বৌদ্ধ যুগের আগ পর্যন্ত হিন্দুরা প্রচুর গোমাংস ভক্ষণ করতেন এ তথ্যও অনেকেই জানেন। ব্যাসঋষী স্বয়ং বলেছেন, 'রন্তিদেবীর যজ্ঞে একদিন পাচক ব্রাক্ষ্মণগণ চিৎকার করে ভোজনকারীদেরকে সতর্ক করে দিয়ে বললেন,মহাশয়গণ! অদ্য অধিক মাংস ভক্ষণ করবেন না, কারণ অদ্য অতি অল্পই গো-হত্যা করা হয়েছে; কেবলমাত্র 21 হাজার গোহত্যা করা হয়েছে। (সাহিত্য সংহিতা-3য় খন্ড, পৃষ্ঠা-476)
 

বৌদ্ধযুগের পূর্ব পর্যন্ত হিন্দুরা যে প্রচুর গরু গোশত খেতেন ডাঃ রাজেন্দ্র প্রসাদ প্রণীত Beef in Ancient India গ্রন্থে, স্বামী ভুমানন্দ প্রণীত 'সোহংগীত', 'সোহং সংহিতা, 'সোহং স্বামী' গ্রন্থগুলোতে, আচার্য্য প্রফুলস্ন চন্দ্র রায়ের 'জাতি গঠনে বাধা' গ্রন্থে উলেস্নখ আছে। এসব গ্রন্থ থেকে জানা যায়, বৌদ্ধযুগের আগ পর্যনত্দ গো-হত্যা, গো-ভক্ষণ মোটেই নিষিদ্ধ ছিল না। মধু ও গো-মাংস না খাওয়ালে তখন অতিথি আপ্যায়নই অপূর্ন থেকে যেতো। এখন প্রশ্ন হলো-ধর্মীয় গ্রন্থে গো-মাংস ভক্ষণের প্রমাণাদি থাকার পরও হিন্দুরা গো-মাংস ভক্ষণ করে না কেন? কেবল মুসলমানরা গরুর গোশত খায় বলে?

0 comments:

Post a Comment

 
Design by Free WordPress Themes | Bloggerized by Lasantha - Premium Blogger Themes | cheap international calls