এবারের এসএসসি ও দাখিল পরীক্ষায় দেশের বিভিন্ন স্কুল ও মাদ্রাসা সাফল্য অর্জন করেছে। কোন কোন স্কুল শতভাগ পাস করেছে। আবার কোন কোন প্রতিষ্ঠানের অনেক শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পাওয়ার গৌরব অর্জন করেছে। খবর ইত্তেফাক সংবাদদাতাদের।
মুন্সীগঞ্জ : মুন্সীগঞ্জে শতভাগ পাস করে প্রেসিডেন্ট প্রফেসর ড. ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ (পিপিআইএ) রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ জেলার শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেছে। এই প্রতিষ্ঠানের ৫৩ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে কৃতিত্বের সাথে ৫৩ জনই উত্তীর্ণ হয়েছে। ২১ জন পেয়েছে এ জিপিএ-৫।
এবার জেলায় ১০ হাজার ২৭৮ পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে পাস করেছে আট হাজার ৯শ’। পাসের হার ৮৬.৫৯। এর মধ্যে সবচেয়ে ভালো করেছে টঙ্গীবাড়ি উপজেলা পাসের হার ৯৩ শতাংশ। শ্রীনগর উপজেলায় এই হার ৯০.১৫ শতাংশ, সিরাজদিখান উপজেলায় ৮৬.৯৭, লৌহজং উপজেলায় ৮৫.১৬ শতাংশ, গজারিয়া ৮৪.২৪ শতাংশ এবং মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার ৮১.৩৯ শতাংশ। জেলায় মোট জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩২৮ জন। মুন্সীগঞ্জ জেলায় মোট ১৩টি প্রতিষ্ঠান শতভাগ পাস করেছে। সদর উপজেলার সেরা ৩টির মধ্যে প্রেসিডেন্ট প্রফেসর ড. ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, বানিয়াল উচ্চবিদ্যালয় ও রিবকাবী বাজার বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। শ্রীনগর উপজেলার ৫টির মধ্যে ভাগ্যকূল হরেন্দ্র লাল উচ্চবিদ্যালয়, শীবরামপুর উচ্চবিদ্যালয়, বাড়ৈখালী উচ্চবিদ্যালয়, বাঘরা স্বরূপ চন্দ্র উচ্চবিদ্যালয় ও কুকুটিয়া ইনস্টিটিউশন। টঙ্গীবাড়ি উপজেলা দু’টির মধ্যে দিঘিরপাড় এসি ইনস্টিটিউশন ও হাজী আব্দুল গণি উচ্চবিদ্যালয়। সিরাজদিখান উপজেলায় দু’টির মধ্যে শেখরনগর উচ্চবালিকা বিদ্যালয় ও পাউসার উচ্চবিদ্যালয়। গজারিয়া উপজেলায় ৩টির মধ্যে বালুয়াকান্দি ড. আব্দুল গাফাফার উচ্চবিদ্যালয়, হাজী কেরামত আলী উচ্চবিদ্যালয় ও রায়পাড়া উচ্চবিদ্যালয় শতভাগ পাস করার গৌরব অর্জন করেছে।
মৌলভীবাজার এসএসসি পরীক্ষায় মৌলভীবাজার জেলায় ৭,৭৫২ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৭,৯১৪ জন পাস করেছে। পাসের হার ৮৮.৯৯%। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪৫৮ জন। ১০০% সাফল্য পেয়েছে ১০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। মৌলভীবাজার সদর উপজেলার ২৬টি স্কুলের ১৬৯৫ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১৫৪৮ জন উত্তীর্ণ হয়েছে। পাসের হার ৮৬.০৯%। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৩৭ জন।
রাজনগর উপজেলায় ৮৭২ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ২৭৫ জন উত্তীর্ণ হয়েছে। পাসের হার ৮৩.৩৬%। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৬ জন। কুলাউড়া উপজেলায় ১৬৪৪ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১২০৭ জন উত্তীর্ণ হয়েছে। পাসের হার ৭৫.৪২%। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪৯ জন।
জুড়ী উপজেলায় জুড়ী মডেল উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে পাসের হার ৯৩.১২%। এ+ ৩১টি এবং মাদ্রাসা পরীক্ষা কেন্দ্রে পাসের হার ৮৪.৯০%। এ+ ৬টি। চারটি বিদ্যালয় শতভাগ সাফল্য অর্জন করেছে।
বড়লেখা উপজেলায় দু’কেন্দ্র থেকে এবার এসএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩৫ জন। শতভাগ ফলাফল অর্জন করেছে গাংকুল পঞ্চগ্রাম আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়।
কমলগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন স্কুল থেকে মোট ৮৪ জন পরীক্ষার্থী জিপিএ-৫ লাভ করেছে। কমলগঞ্জে পাসের হার ৯৩ শতাংশ।
শ্রীমঙ্গল উপজেলায় ২১০২ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১৬৮৫ জন উত্তীর্ণ হয়েছে। পাসের হার ৮০.৭৫%। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১১২ জন।
জামালপুর জেলায় এবারের এসএসসি পরীক্ষায় সবচেয়ে ভাল ফলাফলকারী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে এবারও সেরা জামালপুর জিলা স্কুল। পাসের হার শতভাগ। জিপিএ -৫ (এ+) পেয়েছে ১১০ জন।
নেত্রকোনা নেত্রকোনা জেলায় এবারও শ্রেষ্ঠ স্থান ধরে রেখেছে আঞ্জুমান আদর্শ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়। এছাড়াও জেলায় শতভাগ পাস করেছে নেত্রকোনা আঞ্জুমান আদর্শ সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়, মোহনগঞ্জ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় ও পূর্বধলার জগত্মনি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। নেত্রকোনা আঞ্জুমান আদর্শ সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৮৩ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১০৯ জন।
বাজিতপুর (কিশোরগঞ্জ) বাজিতপুর উপজেলা থেকে মোট ৪৬ জন ছাত্র-ছাত্রী জিপিএ-৫ পেয়েছে। এর মধ্যে আফতাবউদ্দিন স্কুল এন্ড কলেজ থেকে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত ২১ জন, হাফেজ আব্দুর রাজ্জাক পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ৮ জন, বেগম রহিমা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ৮ জন, রাজ্জাকুন্নেছা উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় থেকে ৪ জন, হালিমপুর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ৩ জন ও পিরিজপুর দাখিল মাদ্রাসা থেকে ২ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে।
সেনবাগ নোয়াখালীর সেনবাগে এবছর এসএসসি ও দাখিলে মোট ৫৩ জন পরীক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে। এর মধ্যে এসএসসিতে ২৪ জন এবং দাখিলে ২৪ জন। এছাড়া এবছর উপজেলার দু’টি মাদ্রাসার সকল পরীক্ষার্থী পাস করেছে। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্র জানায়, এবছর উপজেলার তিনটি এসএসসি কেন্দ্র থেকে ১৯৭৮ জন এবং একটি মাদ্রাসা কেন্দ্র থেকে ৭৫৩ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। এরমধ্যে এসএসসিতে ১৬১৯ জন (পাসের হার-৮১.৮৫ ভাগ) এবং দাখিলে ৬৫৬ জন (পাসের হার ৮৭.১২ ভাগ) পাস করে। এছাড়া এসএসসি (ভোক) ১০০ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৯৫ জন পরীক্ষার্থী পাস করেছে। পাসের হার ৯৫%। এসএসসিতে জিপিএ-৫ পাওয়া স্কুলসমূহ ঃ
পাস করা এসব পরীক্ষার্থীর মধ্যে এসএসসিতে উপজেলার ছাতারপাইয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ২ জন, সেনবাগ সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের ৩ জন, বীজবাগ এন.কে উচ্চ বিদ্যালয়ের ৫ জন, সেনবাগ বালিকা বিদ্যালয়ের ২ জন, ছিলোনিয়া ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের ১ জন, ইয়ারপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ১ জন, কানকিরহাট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৪ জন, বাতাকান্দি উচ্চ বিদ্যালয়ের ১ জন, মোহাম্মদপুর রামেন্দ্র মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের ২ জন, শের-ই-বাংলা উচ্চ বিদ্যালয়ের ১ জন ও তেমুহনী আবদুর রশিদ উচ্চ বিদ্যালয়ের ২ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে।
সৈয়দপুর (নীলফামারী) দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডে সৈয়দপুরের ২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সেরা ২০-এ স্থান পেয়েছে। সৈয়দপুর সরকারি কারিগরি স্কুল এন্ড কলেজের ৬৭ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৬৭ জনই পাস করেছে এবং জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫২জন। বোর্ডের মধ্যে ৬ষ্ঠ স্থান। সৈয়দপুর ক্যান্টনমেন্ট স্কুল এন্ড কলেজ থেকে মোট ১২২ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ১২০ জন, জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬৫ জন। বোর্ডের মধ্যে ১৬তম।
দেবীগঞ্জ (পঞ্চগড়) দেবীগঞ্জ উপজেলার এন.এন সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১২ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে। মোট ১০২ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৯৯ জন পাস করেছে। পাসের শতকরা গড় হার ৯৭.০৫। এদিকে অলদিনী সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২জন জিপিএ-৫ পেয়েছে। কালীগঞ্জ এসপি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ৪ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে। টোকরাভাসা টি.এন উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ৩ জন, সোনাহার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১ জন, সোনাহার বালক উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২ জন, কালুরহাট কেসি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২ জন ও ভাউলাগঞ্জ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে।
চাটমোহর (পাবনা) চাটমোহরে ১০৯ জন পরীক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে। এর মধ্যে এসএসসিতে ৭৬ জন, এসএসসি (ভোক-এ) ১১ জন এবং দাখিল পরীক্ষায় ২২ জন। এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ প্রাপ্তদের মধ্যে চাটমোহর আরসিএন এন্ড বিএসএন হাইস্কুল থেকে ১৯ জন, চাটমোহর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১২ জন, মহেলা দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ৫ জন, উত্তর সেনগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ৩ জন, মূলগ্রাম ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২ জন, কাঠেঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২ জন এবং আশরাফ জিন্দানী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২ জন উল্লেখযোগ্য। এসএসসি (ভোক) পরীক্ষায় চাটমোহর আরসিএন এন্ড বিএসএন হাইস্কুল থেকে ৫ জন, চরনবীন হামিদা মমতাজ টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ থেকে ৪ জন এবং চাটমোহর টেকনিক্যাল এন্ড বিএমআই থেকে ২ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে। দাখিল পরীক্ষায় হরিপুর সিনিয়র মাদ্রাসা থেকে ৪ জন, কাটাখালী দাখিল মাদ্রাসা থেকে ৩ জন, চরনবীন দাখিল মাদ্রাসা থেকে ৩ জন, রামচন্দ্রপুর, হোগলবাড়ীয়া ও পার্শ্বডাঙ্গা দাখিল মাদ্রাসা থেকে ২ জন করে এবং বাঘলবাড়ি কৈ, ধুলাউড়ী, জগতলা, কুয়াবাসী, নিমাইচড়া ও নেংড়ী দাখিল মাদ্রাসা থেকে ১ জন করে জিপিএ-৫ পেয়েছে।
স্বরূপকাঠি (পিরোজপুর) স্বরূপকাঠিতে মোট ১৬৬ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে। এর মধ্যে এসএসসিতে ১২৫ এবং দাখিলে ৪১ জন। উপজেলার স্বরূপকাঠি কলেজিয়েট একাডেমি থেকে ৩৩ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়ে ফলাফলে উপজেলার শীর্ষে রয়েছে। ঐ বিদ্যালয়টি বরিশাল শিক্ষাবোর্ডের মেধা তালিকায় ১২তম স্থান লাভ করেছে । পাসের হার শতকরা ৯৫ দশমিক ৯০। স্বরূপকাঠি পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ২৩ জন, মাহমুদকাঠি ইছামুদ্দিন মাঃ বিঃ ১১, বালিহারি মাঃ বিঃ ৯ ,উত্তর পশ্চিম সোহাগদল মাঃ বিঃ ৫,বলদিয়া মলুহার মাঃ বিঃ ৫,আলকিরহাট আরএ মাঃ বিঃ ৪,আকলম মুসলিম মাঃ বিঃ ৪,অলংকারকাঠি এম আর মাঃ বিঃ ৪,সুটিয়াকাঠি পাইলট বালিকা মাঃ বিঃ ৩, রাজাবাড়ি বালিকা মাঃ বিঃ ৩,সুটিয়াকাঠি ইউনিয়ন মাঃ বিঃ ৩,কুড়িয়ানা বালিকা মাঃ বিঃ ৩, সোহাগদল কেপি ইউ মাঃ বিঃ ২,পল্লী মংগল মাঃ বিঃ ২,কুড়িয়ানা আর্য্য সম্মিলনী মাঃ বিঃ ২,পশ্চিম সোহাগদল শহীদ স্মৃতি মাঃ বিঃ ২, নান্দুহার ইলুহার ইউনাইটেড মাঃ বিঃ ২, একুশ গ্রাম মাঃ বিঃ ১,বলদিয়া মাঃ বিঃ ১,শহীদ স্মৃতি বালিকা মাঃ বিঃ ১,জগন্নাথকাঠি মাঃ বিঃ ১,স্বরূপকাঠি বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ১ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে। এছাড়াও দাখিল পরীক্ষায় ছারছিনা দারুচ্ছুন্নাত আলিয়া মাদ্রাসা থেকে ২৬ জনসহ মোট ৪১ শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে।
নলছিটি (ঝালকাঠি) নলছিটিতে মোট ৫৬ জন পরীক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে। এর মধ্যে নলছিটি মার্চেন্টস্ বিদ্যালয়ে ৬ পরীক্ষার্থী, তিমিরকাঠি বালিকা-৪, নলছিটি বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়-২, আমিরাবাদ মাধ্যমিক-২, প্রেমহার মাধ্যমিক-২, জেডএ, ভূট্টো মাধ্যমিক-২, চন্দ্রকান্দা মাধ্যমিক -১ এবং পাওতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১ পরীক্ষার্থীসহ ২০ পরীক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে।
নকলা (শেরপুর) উপজেলায় ২৪টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ১৯টি মাদ্রাসা থেকে মোট ১৭৩১ জন শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছে। এসএসসি ও ভোকেশনাল পরীক্ষার্থী ছিল ১,৫২৭ জন, পাস করেছে ১২১০ জন। দাখিল পরীক্ষার্থী ছিল ৬০৭ জন, পাস করেছে ৫১২ জন।
নকলা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ৮ জন, মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি বিদ্যানিকেতন থেকে ৩ জন, ধনাকুশা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২ জন, কাজাইকাটা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২ জন, পাঠাকাটা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১ জন, নকলা পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১ জন, ইসলাম নগর সাইলামপুর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১ জন, কোটেরচর জোনাব আলী দাখিল মাদ্রাসা থেকে ৩ জন, বারমাইসা দাখিল মাদ্রাসা থেকে ২ জন, কায়দা বালিকা মাদ্রাসা থেকে ২ জন, ছত্রকোনা দাখিল মাদ্রাসা থেকে ১ জন এবং চিথলিয়া দাখিল মাদ্রাসা থেকে ১ জন মোট ২৯ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে।
বকশীগঞ্জ (জামালপুর) উপজেলা থেকে ৯৮৩ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ৬৮৮ জন। পাসের হার শতকরা ৬৯ দশমিক ৯৮। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৩ জন। বকশীগঞ্জ এনএম উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ৩ জন, বাট্টাজোড় নগর মাহমুদ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২ জন, নীলাক্ষি আরজে পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২ জন, সাধুরপাড়া নজরুল ইসলাম উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১ জন ও সরকারি উলফাতুন্নেছা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ৫ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে। দাখিল পরীক্ষায় ৫০১ জনের মধ্যে পাস করেছে ৪৫৭ জন। পাসের হার ৯১ দশমিক ২১। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১০ জন। বাট্টাজোড় কেআরআই মাদ্রাসা থেকে ৩ জন, খয়ের উদ্দিন মাদ্রাসা থেকে ১ জন, বগারচর মাদ্রাসা থেকে ১ জন,দত্তেরচর মাদ্রাসা থেকে ৪ জন ও সাধুরপাড়া থেকে ১ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে।
কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার) কমলগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন স্কুল থেকে মোট ৮৪ জন পরীক্ষার্থী জিপিএ-৫ লাভ করেছে। কমলগঞ্জে পাসের হার ৯৩ শতাংশ।
কমলগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলার আদমপুর ইউনিয়নের তেঁতইগাঁও রশিদ উদ্দীন উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২৩ জন জিপিএ-৫ লাভ করেছে। কমলগঞ্জ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৩ জন, আদমপুর এম এ ওহাব উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১১ জন, শমশেরনগর এএটি এম উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১০ জন, দয়াময় সিংহ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ৯ জন, ইসলামপুর পদ্মা মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ৫ জন, ভান্ডারীগাঁও উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ৩ জন, শমশেরনগর হাজী মোঃ উস্তওয়ার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ৩ জন, মুন্সীবাজার কালী প্রসাদ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ৩ জন, পতনউষার উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ৩ জন ও আহমদ ইকবাল মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১ জন পরীক্ষার্থী জিপিএ-৫ লাভ করেছে।
এবারের এসএসসি ও দাখিল পরীক্ষায় দেশের বিভিন্ন স্কুল ও মাদ্রাসা সাফল্য অর্জন করেছে। কোন কোন স্কুল শতভাগ পাস করেছে। আবার কোন কোন প্রতিষ্ঠানের অনেক শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পাওয়ার গৌরব অর্জন করেছে। খবর ইত্তেফাক সংবাদদাতাদের।
নবীগঞ্জ (হবিগঞ্জ) : নবীগঞ্জ উপজেলার ১৬টি উচ্চবিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে মোট ৩৩ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে এবং মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে ১৩ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে।
নবীগঞ্জ উপজেলায় মোট এক হাজার ৪৮০ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে কৃতকার্য হয়েছে এক হাজার ২৬১ জন। মোট পাসের হার ৮৫ শতাংশ। ফলাফল অনুযায়ী নবীগঞ্জ জেকে উচ্চবিদ্যালয় ১০ জন জিপিএ-৫ পেয়ে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেছে। মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে নবীগঞ্জ উপজেলায় ৩৭৭ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে ৩৩৬ জন কৃতকার্য হয়। মোট পাসের হার ৮৯.১২। এ ছাড়া কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ৩৫ জনের মধ্যে ৩৪ জন কৃতকার্য হয়।
ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ) : ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার ২৬টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে মোট ১৫৯ জন পরীক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে। বিশ্বেশ্বরী উচ্চ বিদ্যালয়ে ৩৮, সোহাগী উচ্চ বিদ্যালয়ে ১১, উচাখিলা উচ্চবিদ্যালয়ে ১১, মধুপুর উচ্চবিদ্যালয়ে ১১, বড়হিত উচ্চবিদ্যালয়ে ছয়, মাইজবাগ উচ্চবিদ্যালয়ে পাঁচ, চরনিখলা পাঁচ, আঠারবাড়ী চার, কোনাপাড়া দুই, ডিথপুর দুই ও জাটিয়া, রাবিজপুর, কাশিমপুর ও মলিকপুর উচ্চবিদ্যালয়ে একজন করে জিপিএ-৫ পেয়েছে। তা ছাড়া ঈশ্বরগঞ্জ পিএস কামিল ম্রদ্রাসা ২৩, পিতাম্বরপাড়া কামিল ১৩, ধনিয়াকান্দি দাখিল মাদ্রাসা ১১, খালেকিয়া তিন, সাকুয়া তিন, মজিদিয়া তিন, চারিকান্দা দুই, পানান দুই ও মহেষপুর, মধুপুর ও জাটিয়া দাখিল মাদ্রাসার একজন করে জিপিএ-৫ পেয়েছে।
চলনবিল : তাড়াশ উপজেলায় জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪২ জন ছাত্র-ছাত্রী। তন্মধ্যে এসএসসি পরীক্ষায় ৩৫, দাখিল ৩ ও ভোকেশনাল-কারিগরি থেকে ছয়জন ছাত্র-ছাত্রী জিপিএ-৫ পেয়েছে। তাড়াশ ভোকেশনাল থেকে পাঁচজন জিপিএ-৫ পাওয়ায় উপজেলার মধ্যে শীর্ষে রয়েছে। বস্তুল ইসহাক উচ্চ বিদ্যালয় থেকে চারজন, গুল্টা উচ্চবিদ্যালয় থেকে চারজন, তাড়াশ বালিকা বিদ্যালয় থেকে তিনজন, মাধাইনগর উচ্চবিদ্যালয় থেকে তিনজন, লালুয়া মাঝিড়া উচ্চবিদ্যালয় থেকে তিনজন জিপিএ-৫ পেয়েছে। এ ছাড়াও শোলাপাড়া উচ্চবিদ্যালয় থেকে দু’জন, দোবিলা উচ্চবিদ্যালয় থেকে দু’জন, বারুহাস দু’জন, কুন্দইল বিলচলন বঙ্গবন্ধু উচ্চবিদ্যালয় থেকে দু’জন, হামকুড়িয়া উচ্চবিদ্যালয় থেকে দু’জন, বিষমডাঙ্গা বালিকা বিদ্যালয় থেকে দু’জন, নাদোসৈয়দপুর উচ্চবিদ্যালয় থেকে একজন, কুন্দাশন উচ্চবিদ্যালয় থেকে একজন, ধাপ-ওয়াশীন উচ্চবিদ্যালয় থেকে একজন, তাড়াশ পাইলট উচ্চবিদ্যালয় থেকে একজন, বোয়ালিয়া উচ্চবিদ্যালয় থেকে একজন গুড়পিপুল আদিবাসি উচ্চবিদ্যালয় থেকে একজন জিপিএ-৫ পেয়েছে। উপজেলার সবক’টি মাদ্রাসার মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে মাত্র তিনজন।
ভাণ্ডারিয়া : এবারের এসএসসি পরীক্ষায় ভাণ্ডারিয়া উপজেলায় ৪৭টি জিপিএ-৫ পেয়েছে। এর মধ্যে বিহারী পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ১২টি জিপিএ-৫ পেয়ে শীর্ষে রয়েছে এবং ভিটাবাড়ীয়া আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সাতটি জিপিএ-৫ পেয়ে ২য় স্থানে রয়েছে। এ ছাড়া বন্দর সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ে পাঁচটি, গৌরিপুর, আছিয়া খাতুন, পৈকখালী হাজী এসএন জামান, হেতালিয়া নেছার উদ্দীন, মজিদা বেগম বালিকা ও পশারীবুনিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ফলাফল সন্তোষজনক। শিয়ালকাঠী মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও আতরখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ফলাফল সন্তোষজনক না হওয়ায় অভিভাবকদের পাশাপাশি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্ট মাধ্যমিক কর্মকর্তা আ. জলিল। স্কুলে উপজেলায় মোট পরীক্ষার্থী ছিল এক হাজার ৯০ জনের মধ্যে পাস করেছে ৯৪২ জন। উপজেলায় পাসের হার ৮৬.৪২ শতাংশ। এ ছাড়া মাদ্রাসায় মাফসার উল উলুম দাখিল মাদ্রাসা ছয়টি জিপিএ-৫ পেয়ে মাদ্রাসার মধ্যে শীর্ষে রয়েছে। গত বছর উপজেলায় ৫৪.০০ শতাংশ ছিল ও এবারে ৮৬.৪২ শতাংশ পেয়ে উপজেলায় সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ফলাফল ভালো করেছে।
ফরিদগঞ্জ (চাঁদপুর ) : ফরিদগঞ্জে এসএসসি-তে ৯৩ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে। স্কুলগুলো হচ্ছে চাঁন্দ্র স্কুল অ্যান্ড কলেজে ১৯, ফরিদগঞ্জ আদর্শ একাডেমী ১৪, আলোনিয়া হাই স্কুল ৭, ফরিদগঞ্জ গার্লস স্কুল ৬, মনতলা ৫, মুন্সির হাট হাই স্কুল ৫, ফরিদগঞ্জ এআর পাইলট ৪, বালিথুবা হাই স্কুল ৪, খাজুরিয়া ৪, শোল্লা ৪, রূপসা গার্লস ৪, কালির বাজার ২, গৃদকালিন্দিয়া ২, বড়গাঁও ২, সাহেবগঞ্জ ২, ধানুয়া জনতা ২, রূপসা বালক ১, রামপুর বাজার ১, চিরকা চাঁদপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজ ১, গাজীপুর মুসলিম হাই স্কুল ১, গোবিন্দপুর হাই স্কুল ১, বি.আর. হাই স্কুল ১, শাশিয়ালী হাই স্কুল ১ জন। ২ হাজার ৮০৭ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ২ হাজার ৪৬৮ জন পাস করেছে। পাসের হার ৮৭.৮৯ শতাংশ।
দাখিল পরীক্ষায় ৫০ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে। মাদ্রাসাগুলো হচ্ছে— মুন্সীরহাট আলিম মাদ্রাসা সাত, ফরিদগঞ্জ আলিয়া মাদ্রাসা চার, হাঁসা ফাজিল মাদ্রাসা পাঁচ, রামপুর বাজার মাদ্রাসা চার, আলোনিয়া মাদ্রাসা তিন, ধানুয়া মাদ্রাসা তিন, রামদাসেরবাগ মাদ্রাসা তিন, গোবিন্দপুর মাদ্রাসা তিন, লড়াইরচ মাদ্রাসা তিন, পশ্চিম পোঁয়া মাদ্রাসা তিন, পশ্চিম লাড়ুয়া মাদ্রাসা দুই, শোল্লা মাদ্রাসা দুই, কাওনিয়া মাদ্রাসা এক, সন্তোষপুর মাদ্রাসা এক, দক্ষিণ হর্নি মাদ্রাসা এক, চান্দ্রা ফাজিল মাদ্রাসা এক, ঘনিয়া মাদ্রাসা এক, বালিথুবা একজন। দাখিলে ৮১৯ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ৭০৯ জন পাস করে। পাসের হার ৮৬.৫৭ শতাংশ।
বাসাইল (টাঙ্গাইল) : বাসাইলের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে এক হাজার ১৭১ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে এক হাজার ২০ জন উত্তীর্ণ হয়েছে। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫৫ জন। উপজেলায় শতকরা পাসের হার ৮৭.১০ শতাংশ। এবারেই প্রথম বাসাইল পাইলট বালিকা উচ্চবিদ্যালয় থেকে সর্বোচ্চ ১০ ছাত্রী জিপিএ-৫ পেয়েছে। অন্যদিকে, বাসাইল গোবিন্দ সরকারি উচ্চবিদ্যালয় থেকে ছয়জন জিপিএ-৫-সহ শতভাগ পরীক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছে। উপজেলায় শতভাগ পাসের অন্য স্কুলটি হচ্ছে পূর্ব পৌলি উচ্চবিদ্যালয়।
এ ছাড়া মাদ্রাসা বোর্ডের অধীনে অনুষ্ঠিত দাখিল পরীক্ষায় বিভিন্ন মাদ্রাসার ৩২৮ জন পরীক্ষার্থীর ২৭৫ জন কৃতকার্য হয়েছে। পাসের হার ৮৩.৮৪ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১২ জন।
লোহাগাড়া (চট্টগ্রাম) : চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার দক্ষিণ সাতকানিয়া গোলামবারী উচ্চবিদ্যালয় ও শাহপীর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়—এ দু’টি পরীক্ষা কেন্দ্রে এবারের এসএসসি পরীক্ষায় এক হাজার ৪১৫ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে এক হাজার ১৯৬ জন। পাসের হার ৮৪.৫২ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে মাত্র ২০ জন। উপজেলার ২২টি স্কুলের মধ্যে উত্তর আমিরাবাদ এমবি উচ্চবিদ্যালয়ের পাঁচজন পরীক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়ে উপজেলার মধ্যে প্রথম হয়েছে। অন্যদিকে, আমিরাবাদ সুফিয়া আলিয়া মাদ্রাসা কেন্দ্রে ৮৮৬ জন দাখিল পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ৮৪৭ জন। পাসের হার ৯৫.৬০ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১১৮ জন। উপজেলার ২২টি মাদ্রাসার মধ্যে আধুনগর ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার ২১ জন পরীক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়ে উপজেলার মধ্যে প্রথম হয়েছে।
গোমস্তাগঞ্জ (চাঁপাইনবাবগঞ্জ) : গোমস্তাপুর উপজেলায় ২৭টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে মোট ১৩২ জিপিএ-৫ পেয়েছে। তন্মধ্যে বিজ্ঞান বিভাগে ১৩০ জন এবং মানবিক বিভাগে দু’জন পরীক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে। বরাবরের মতো এবারও উপজেলায় জিপিএ-৫ প্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শীর্ষে রয়েছে রহনপুর এবি সরকারি উচ্চবিদ্যালয়। এ প্রতিষ্ঠান থেকে এবার সর্বোচ্চ ৩৪ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে। ১৫টি জিপিএ-৫ পেয়ে ২য় স্থানে রয়েছে রহনপুর রাবেয়া বালিকা উচ্চবিদ্যালয় এবং ০৯টি জিপিএ-৫ পেয়ে উপজেলায় ৩য় স্থানে রয়েছে চৌডালা দ্বিমুখী উচ্চবিদ্যালয়। এ ছাড়াও বোয়ালিয়া ও খাৈলসী উচ্চবিদ্যালয় থেকে আটজন, প্রাসদপুর বালিকা উচ্চবিদ্যালয় ও গোমস্তাপুর পাইলট উচ্চবিদ্যালয় থেকে সাতজন, খয়রাবাদ হাজী সদর আলী উচ্চবিদ্যালয় ছয়জন। আলীনগর বালিকা বিদ্যালয় থেকে পাঁচজন। গোমস্তাপুর আব্দুল হামিদ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় চারজন। নয়াদিয়াবাড়ী উচ্চবিদ্যালয়, চাঁদপুর উচ্চবিদ্যালয় ও হোগলা উচ্চবিদ্যালয় থেকে তিনজন, চেরাডাঙ্গা বয়েজ একাডেমী দেওপুরা উচ্চবিদ্যালয়, সোনাবর উচ্চবিদ্যালয়, সন্তোষপুর বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, বাঙ্গাবাড়ী ও আলীনগর স্কুল ও কলেজ থেকে দু’জন করে জিপিএ-৫ পেয়েছে।
ফরিদপুর (পাবনা) : পাবনার ফরিদপুর উপজেলা থেকে ২০১০ সালের এসএসসি পরীক্ষায় ৪১ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে। এ বছর সবচেয়ে বেশি জিপিএ-৫ পেয়েছে বনওয়ারি নগর সিবিপি উচ্চবিদ্যালয় থেকে ২৯ জন। এ ছাড়া দিঘুলিয়া এ জেড উচ্চ বিদ্যালয় থেকে পাঁচজন, ফরিদপুর ইউনিয়ন উচ্চবিদ্যালয় থেকে দু’জন, হাড়োডাংগা একতা উচ্চবিদ্যালয় থেকে দু’জন, পুংগলী মডেল উচ্চবিদ্যালয় থেকে দু’জন এবং ডেমড়া আলহাজ জয়েন উল্লাহ উচ্চবিদ্যালয় থেকে একজন জিপিএ-৫ পেয়েছে।
গোপালগঞ্জ : গোপালগঞ্জ জেলায় শতকরা ৮২ ভাগ শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছে। পরীক্ষায় মোট ১০ হাজার ৮২০ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। এরমধ্যে পাস করে আট হাজার ৯১১ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩১৫ জন। ফলাফলের দিক থেকে জেলার মধ্যে গোপালগঞ্জ বীণাপানি সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয় থেকে ৫২ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়ে শ্রেষ্ঠ স্কুলের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে। এ স্কুল থেকে মোট ২০২ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়। এরমধ্যে উত্তীর্ণ হয় ১৯১ জন। স্কুলের পাসের হার শতকরা ৯৫ ভাগ। এ ছাড়া জেলার মধ্যে যেসব স্কুল থেকে জিপিএ-৫ পেয়ে সেরা ১০-র তালিকায় রয়েছে, সেসব স্কুল হলো— গোপালগঞ্জ এসএম মডেল গভ. হাই স্কুল। এ স্কুল থেকে মোট ১২৪ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় আংশ নেয়। উত্তীর্ণ হয় ১২৩ জন। শতকরা পাসের হার ৯৯ ভাগ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪০ জন। গোপালগঞ্জ শহরের স্বর্ণকলি উচ্চবিদ্যালয় থেকে ৯ জন পরীক্ষার্থী ও টুটামান্দ্রা উচ্চবিদ্যালয় থেকে ১২ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে। এ ছাড়া মুকসুদপুর আব্দুল হাই মেমোরিয়াল হাই স্কুল থেকে ২২ জন, এস জে হাই স্কুল থেকে ১৮ জন, জেকেএমবি মল্লিক হাই স্কুল থেকে চারজন, বাটিকামারী উচ্চবিদ্যালয় থেকে পাঁচজন জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে। কাশিয়ানী জেসি পাইলট উচ্চবিদ্যালয় থেকে ১৬ জন ও টুঙ্গিপাড়ার জিটি সরকারি উচ্চবিদ্যালয় থেকে পাঁচজন জিপিএ-৫ পেয়েছে। এ ছাড়া এসএসসি (ভোকেশনাল) পরীক্ষায় মুকসুদপুর হাদিউজ্জামান মেমোরিয়াল হাই স্কুল থেকে একজন ও কোটালীপাড়া টেক্সটাইল ভোকেশনাল ইনস্টিটিউট থেকে একজন জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে।
এবারের এসএসসি ও দাখিল পরীক্ষায় দেশের বিভিন্ন স্কুল ও মাদ্রাসা ফলাফলে সাফল্য অর্জন করেছে। কোনো কোনো স্কুল শতভাগ পাস করেছে। আবার কোনো কোনো প্রতিষ্ঠানের অনেক শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পাওয়ার গৌরব অর্জন করেছে। খবর ইত্তেফাক সংবাদদাতাদের।
কুষ্টিয়া : এবারের কুষ্টিয়া জিলা স্কুল, গার্লস স্কুল ও পুলিশ লাইন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ফলাফলে সাফল্য অর্জন করেছে। ফলাফলে এই তিন স্কুলের মধ্যে জিলা স্কুল যশোর বোর্ডের অধীনে ৭ম স্থান ও সরকারি বালিকা বিদ্যালয় ১১তম স্থান লাভ করেছে। কুষ্টিয়া জিলা স্কুলের মোট ৩৪২ জন পরীক্ষার্থীর ৩৪১ জন পাস করেছে। এদের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৬৯ জন। গত ২০১০ সালের এসএসসি পরীক্ষায় জিলা স্কুল থেকে ১০৬ জন পরীক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছিল।
গাজীপুর : গাজীপুর জেলায় মোট ১১০৮ জন পরীক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে। জেলায় মোট ১৮ হাজার ৭৮৬ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ১৫ হাজার ৯৯৯ জন। পাসের হার শতকরা ৮৫.১৬। গত বছরের চেয়ে এবার পাসের হার শতকরা ৭.৫৮ ভাগ বেড়েছে। ২০১০ সালে জেলায় ১৬ হাজার ৭৩৯ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছিল ১২ হাজার ৯৮৬ জন এবং জিপিএ-৫ পেয়েছিল ৯৮১ জন পরীক্ষার্থী। এবার জেলার সেরা ১০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে শতভাগ পাস করে শীর্ষে রয়েছে রাজেন্দ্রপুর ক্যান্টম্যান্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ। ২য় স্থানে সফিউদ্দিন সরকার একাডেমি অ্যান্ড কলেজ ও ৩য় স্থানে রয়েছে সিকিউরিটি প্রিন্টিং করপোরেশন উচ্চবিদ্যালয়।
ঝালকাঠি : ঝালকাঠি সরকারি বালক উচ্চবিদ্যালয় এসএসসি পরীক্ষায় ৪৪ জন জিপিএ-৫ পেয়ে বোর্ডে ৬ষ্ঠ স্থান অধিকার করেছে। এদিকে ঝালকাঠি সরকারি হরচন্দ্র বালিকা বিদ্যালয় ১৯ জন জিপিএ-৫ পেয়ে বোর্ডে ১৮তম স্থান করেছে।
ঝালকাঠি সরকারি বালক উচ্চবিদ্যালয় থেকে ১১৯ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ১১৮ জন পাস করেছে। পাশাপাশি সরকারি বালিকা বিদ্যালয় থেকে ৯০ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ৮৭ জন পাস করেছে।
এদিকে হজরত কায়েদ সাহেব হুজুর (র.) প্রতিষ্ঠিত ঝালকাঠির এনএস কামিল মাদ্রাসা বোর্ডে দাখিল পরীক্ষায় ৪র্থ স্থান পেয়েছে। এই মাদ্রাসা থেকে ১৩০ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে। এর মধ্যে বিজ্ঞান বিভাগে ৯১ জন এবং সাধারণ বিভাগে ৩৯ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে। মোট ২৪৫ জন পরিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিল।
নরসিংদী : নরসিংদীতে এসএসসি পরীক্ষায় পাসের হার ৮৫.৯৩। নরসিংদীর সেরা ১০টি স্কুল হলো ব্রাহ্মন্দী কেকেএম সরকারি উচ্চবিদ্যালয়, নরসিংদী সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, জনতা আদর্শ বিদ্যাপীঠ, পলাশ সারকারখানা উচ্চবিদ্যালয়, ইউরিয়া সারকারখানা উচ্চবিদ্যালয়, বিদ্যুত্ উন্নয়ন বোর্ড উচ্চবিদ্যালয়, গুলেস্তা হাফিজ মেমোরিয়াল উচ্চবিদ্যালয়, পূবালী জুটমিল উচ্চবিদ্যালয়, ইউএমসি আদর্শ বিদ্যাপীঠ ও দেওয়ানের চর মাধ্যমিক বিদ্যালয়। এদের মধ্যে শতভাগ পাস করার কৃতিত্ব অর্জন করেছে ব্রাহ্মন্দী কেকেএম সরকারি উচ্চবিদ্যালয় (পরীক্ষাথী ১৪৭ জন, জিপিএ-৫ পেয়েছে ৭৫ জন), জনতা আদর্শ বিদ্যাপীঠ (পরীক্ষার্থী ৫২ জন, জিপিএ-৫ পেয়েছে ২০ জন) ও ইউরিয়া সারকারখানা উচ্চবিদ্যালয় (পরীক্ষার্থী ৯৮ জন, জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩৩ জন)।
জেলায় মোট পরীক্ষার্থী ছিল ১৪ হাজার ৪৮৩ জন। এর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ১২ হাজার ৪৪৫ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৭৫৯ জন।
অন্যদিকে, মাদ্রাসার বোর্ডের দাখিল পরীক্ষায় নরসিংদীর জামেয়া-ই-কাসেমিয়া কামিল মাদ্রাসার ১৫০ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৬৫ জন জিপিএ-৫ সহ উত্তীর্ণ হয়েছে ১৪৮ জন।
মাগুরা : মাগুরা জেলায় সবচেয়ে বেশি জিপিএ-৫ পেয়েছে সরকারি বালক উচ্চবিদ্যালয় থেকে। এই বিদ্যালয় থেকে ৩৯ জন ছাত্র জিপিএ-৫ পেয়েছে। মোট ১২৩ জন ছাত্রএসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। এর মধ্যে পাস করেছে ১১৩ জন। অকৃতকার্য হয়েছে ১০ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩৯ জন। অন্যদিকে মাগুরা সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয় থেকে মোট ১২৫ জন ছাত্রী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাস করেছে ১১৯ জন। অকৃতকার্য করেছে ছয়জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৬ জন। ‘এ’ পেয়েছে ৬৫ জন।
নীলফামারী : শতভাগ পাস করেও সেরা দশে ঠাঁই হয়নি নীলফামারী সরকারি বালক উচ্চবিদ্যালয় ও ক্যালেক্টরেট স্কুল অ্যান্ড কলেজের। তবে উপজেলা সদর সৈয়দপুরে অবস্থিত সৈয়দপুর টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ ৬ষ্ঠ স্থান দখল করে। সেরা বিশে ১১তম স্থান দখল করেছে সরকারি বালক উচ্চবিদ্যালয় ও নীলফামারী ক্যালেক্টরেট স্কুল অ্যান্ড কলেজ ১৫তম স্থান অধিকার করলেও সৈয়দপুর ক্যান্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ এবার ১৬তম স্থান অধিকার করেছে। সরকারি বালক উচ্চবিদ্যালয় থেকে ১৩৩ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ৬৮ জন জিপিএ-৫ সহ শতভাগ পাস করেছে। নীলফামারী ক্যালেক্টরেট স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে ৭০ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ৪০ জন জিপিএ-৫ সহ শতভাগ পাস করলেও সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয় থেকে ১৩৩ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ২০ জন জিপিএ-৫ পেলেও ফেল করেছে ছয়জন। ডোমার সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয় থেকে ৫১ জন পরীক্ষার একজন জিপিএ-৫ সহ পাস করেছে ৪৮ জন, ডিমলা সরকারি আরবিআর উচ্চবিদ্যালয় থেকে ৬৭ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ছয়জন জিপিএ-৫ পেলেও অকৃতকার্য হয়েছে ১২ জন, ডিমলা সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয় থেকে ৬৩ জন পরীক্ষার একজন জিপিএ-৫ সহ পাস করেছে ৫৯ জন। নীলফামারী পুলিশ লাইন্স একাডেমি থেকে ৫০ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে দু’জন জিপিএ-৫ সহ পাস করেছে ৪৯ জন। ছমির উদ্দিন উচ্চবিদ্যালয় থেকে ১৭ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে কোনো জিপিএ ছাড়াই পাস করেছে ১৪৪ জন।
খাগড়াছড়ি : খাগড়াছড়িতে ফলাফলে ৫৫টি স্কুলের মধ্যে ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজ এবং নতুনকুঁড়ি ক্যান্টনমেন্ট—এ দুটি স্কুলে শতভাগ পাস করেছে। পুরো জেলায় মোট পরীক্ষার্থী চার হাজার ৬৪২ জনের মধ্যে পাস করেছে দুই হাজার ৫০৫ জন। পাসের হার ৫৩.৬১। পুরো জেলায় জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩১ জন শিক্ষার্থী। তার মধ্যে ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজের ১১ জন, নতুনকুঁড়ি ক্যান্টনমেন্ট স্কুলে আটজন, খাগড়াছড়ি সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের তিনজন, রামগড় সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের দু’জন, রামগড় বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের তিনজন, মাটিরাঙ্গা পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ের একজন, গুইমারা উচ্চবিদ্যালয়ের একজন, তাইদং উচ্চবিদ্যালয়ের একজন, খাগড়াছড়ি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের একজন।
সৈয়দপুর : দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডে শীর্ষ ২০ তালিকায় স্থান পেয়েছে সৈয়দপুর উপজেলার দু’টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে ৬ষ্ঠ স্থানে রয়েছে সৈয়দপুর সরকারি কারিগরি মহাবিদ্যালয় এবং ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজের অবস্থান ১৬তম।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর সূত্রমতে, সৈয়দপুর ২৬টি মাধ্যমিক স্কুল থেকে দুই হাজার ৩৫৩ শিক্ষার্থী এবার এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। এর মধ্য থেকে এক হাজার ৮৪৪ জন উত্তীর্ণ হয়েছে। পাসের হার ৭৮.৩৬ ভাগ। ১৪টি স্কুল থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ২২৭ জন শিক্ষার্থী। শতভাগ পাস করেছে সরকারি কারিগরি মহাবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। জিপিএ-৫ পেয়েছে সাতজন। ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজ থেকে ১২২ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ১২০ জন উত্তীর্ণ হয়। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬৫ জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে ব্যবসায় শিক্ষা শাখা থেকে জিপিএ-৫ পায় পাঁচজন। লায়ন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজের ২৩৮ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ২৩৭ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫৭ জন। এর মধ্যে ব্যবসায় শিক্ষা থেকে ৯ জন ও মানবিক শাখা থেকে ৯ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পায়। আল-ফারুক একাডেমি থেকে ১৪৮ জনের মধ্যে পাস করে ১৪৪ জন, জিপিএ-৫ পেয়েছে ২১ জন, সানফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে ৭৩ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ৭২ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৩ জন। গোলাহাট স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে ১৫০ জনের মধ্যে পাস করেছে ১৪৫ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে পাঁচজন। গ্রামের স্কুল থেকে চমক দেখিয়েছে লক্ষণপুর উচ্চবিদ্যালয় থেকে ১৬৪ জনের মধ্যে ১৪০ জন পাস করেছে। জিপিএ-৫ পেয়েছে ছয়জন। খালিশা বেলপুকুর উচ্চবিদ্যালয়, কয়ানিজপাড়া উচ্চবিদ্যালয়, পাইলট বালিকা উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজ, কামারপুকুর উচ্চবিদ্যালয় থেকে দু’জন করে জিপিএ-৫ পেয়েছে।
বাকৃবি : বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) অবস্থিত কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (কেবি) স্কুল থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪৭ জন এবং পাসের হার ৯০.৫৬ শতাংশ।
জানা গেছে, স্কুলটিতে এবারের মোট পরীক্ষার্থী ২১২ জনের মধ্যে ১৯২ জন সব বিষয়ে পাস করেছে।
মধুখালী (ফরিদপুর) : মধুখালী উপজেলায় মোট ৪২ জন ছাত্র-ছাত্রী জিপিএ-৫ পেয়েছে। এর মধ্যে আড়পাড়া উচ্চবিদ্যালয় থেকে পাঁচজন ছাত্র-ছাত্রী জিপিএ-৫ পেয়েছে। নওপাড়া উচ্চবিদ্যালয় তিনজন, গাজনা পূর্ণচন্দ্র উচ্চবিদ্যালয় থেকে দু’জন, বাগাট উচ্চবিদ্যালয় থেকে দু’জন, মাহমুদুন নবী উচ্চবিদ্যালয়, রায়পুর বকশিপুর উচ্চবিদ্যালয়, কামারখালী সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়গুলো থেকে একজন করে জিপিএ-৫ পেয়েছে। মাদ্রাসার দাখিল পরীক্ষায় মোট ছয়জন ছাত্র-ছাত্রী জিপিএ-৫ পেয়েছে তাদের মধ্যে বাগাট দাখিল মাদ্রাসা তিনজন, ব্যাসদী হাজী আ. গণি দাখিল মাদ্রাসা থেকে দু’জন এবং আড়পাড়া কামারখালী মাদ্রাস একজন।
কাঁঠালিয়া (ঝালকাঠি) : ঝালকাঠির কাঁঠালিয়ার ৪৭ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে। এর মধ্যে কাঁঠালিয়া পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় আট, কাঁঠালিয়া পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় ১৬, চিংড়াখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয় দুই, চেঁচরী রামপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় চার, আব্দুস ছোমেদ মাধ্যমিক বিদ্যালয় এক, আওরাবুনিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় দুই, আমুয়া বন্দর আমির মোল্লা মাধ্যমিক বিদ্যালয় দুই, বাঁশবুনিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় এক, আমুয়া বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় এক ও ঘোষের হাট বেগম চাঁদ মিয়া বালিকা বিদ্যালয় তিনজন। এ ছাড়া কাঁঠালিয়া সদর সিনিয়ির মাদ্রাসা একজন, কচুয়া মফিজ উদ্দিন দাখিল মাদ্রাসা একজন, আমুয়া চাঁদ মিয়া ফাজিল মাদ্রাসা তিনজন, দত্তের পশুরিবুনিয়া দাখিল মাদ্রাসায় একজন জিপিএ-৫ পেয়েছে।
কেন্দুয়া (নেত্রকোনা) : এসএসসিতে কেন্দুয়া উপজেলার বিভিন্ন উচ্চবিদ্যালয় থেকে ২৬ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে। এর মধ্যে সাবেরুন্নেছা বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে ১০, আশুজিয়া জেএসসি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঁচ, বেখৈরহাটী এনকে উচ্চবিদ্যালয়ে চার, জয়হরি স্প্রাই সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ে পাঁচ, মিতালী ও গণ্ডা দ্বিমুখী উচ্চবিদ্যালয়ে একজন করে জিপিএ-৫ পায়।
0 comments:
Post a Comment