জাপানে সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প
জাপানে গতকাল শুক্রবার আঘাত হানা ভূমিকম্পটি ছিল দেশটির ইতিহাসে সবচেয়ে প্রলয়ংকরী। এই ভূমিকম্পের প্রভাবে দেখা দেওয়া সুনামিতে প্রায় ১০ মিটার উঁচু জলোচ্ছ্বাসে ভেসে যায় জাপানের অনেক এলাকা। এর প্রভাবে জলোচ্ছ্বাস দেখা দেয় প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকার বেশ কয়েকটি দেশে। এখানে ১৯০০ সালের পর বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী ১০টি ভূমিকম্পের সংক্ষিপ্ত তথ্য তুলে ধরা হলো। এর মধ্যে বেশির ভাগ ভূমিকম্পের প্রভাবে সুনামি দেখা দেয়। এতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।
১৯০৬ সালের ৩১ জানুয়ারি: ইকুয়েডর ও কলম্বিয়ায় ভূমিকম্প এবং সুনামিতে অন্তত এক হাজার মানুষের মৃত্যু হয়। ভূমিকম্পের তীব্রতা৮ দশমিক ৮। মধ্য আমেরিকা, সানফ্রানসিসকো ও জাপান পর্যন্ত এ ভূকম্পন অনুভূত হয়।
১৯৫২ সালের ৪ নভেম্বর: রাশিয়ায় ৯ দশমিক শূন্য মাত্রার ভূমিকম্প ও সুনামি আঘাত হানে। এর তীব্রতা হাওয়াই দ্বীপ পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু কোনো মানুষ হতাহত হয়নি।
১৯৫৭ সালের ৯ মার্চ: আলাস্কায় ৮ দশমিক ৬ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে। এর পরপরই উমনাক দ্বীপের ভিসেভিডোফ আগ্নেয়গিরির ২০০ বছর পর অগ্ন্যুৎপাত হয়। এ সময় অন্তত ৫০ ফুট উঁচু সুনামি হাওয়াই দ্বীপে আছড়ে পড়ে।
১৯৬০ সালের ২২ মে: চিলির সান্তিয়াগো ও কনসেপশন শহরে ৯ দশমিক ৫ তীব্রতার ভূমিকম্প আঘাত হানে। এ সময় উপকূলীয় অঞ্চলে জলোচ্ছ্বাস ও আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত হয়। এতে পাঁচ হাজার মানুষের প্রাণহানি ঘটে। ২০ লাখ মানুষ ঘরবাড়ি হারায়।
১৯৬৪ সালের ২৮ মার্চ: যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কায় ভূমিকম্প ও সুনামিতে অন্তত ১২৫ জনের প্রাণহানি ঘটে। এতে অন্তত ৩১ কোটি ডলারের ক্ষয়ক্ষতি হয়। ওই ভূমিকম্পের তীব্রতা ছিল ৯ দশমিক ২।
১৯৬৫ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি: আলাস্কায় ৮ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে। এর পরপরই শেমিয়া দ্বীপে অন্তত ৩৫ ফুট উঁচু সুনামি আঘাত হানে।
২০০৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর: ইন্দোনেশিয়ার আচেহ প্রদেশের সুমাত্রা দ্বীপে ৯ দশমিক ১ তীব্রতার ভূমিকম্প আঘাত হানে। এ সময় সুনামিতে ইন্দোনেশিয়া ছাড়াও শ্রীলংকা, থাইল্যান্ড, ভারত ও অন্য নয়টি দেশে অন্তত দুই লাখ ২৬ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়।
২০০৫ সালের ২৮ মার্চ: ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা দ্বীপে ৮ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্প ও সুনামির আঘাতে অন্তত এক হাজার ৩০০ মানুষের প্রাণহানি ঘটে।
২০১০ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি: চিলেতে ৮ দশমিক ৮ মাত্রার ভূম্পিকম্পের আঘাতে পাঁচ শতাধিক মানুষের প্রাণহানি ঘটে। এতে অন্তত তিন কোটি ডলারের ক্ষয়ক্ষতি হয়। হাজার হাজার মানুষ ঘরবাড়ি হারায়।
২০১১ সালে ১১ মার্চ: ৮ দশমিক ৯ তীব্রতার ভূমিকম্প জাপানের উত্তরাঞ্চলীয় উপকূলে আঘাত হানে। যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ বিভাগ সূত্রে জানায়, এর উৎপত্তি স্থল ছিল হনশু দ্বীপের প্রায় ৮১ মাইল পূর্বে সেনদাইয়ের অন্তত ১৫ দশমিক ১ মাইল গভীরে। ভূমিকম্পের পরপরই দেশটির উপকূলীয় অঞ্চলে ১০ মিটার উঁচু সুনামি হয়। জাপান ছাড়াও ফিলিপাইন, তাইওয়ান, ইন্দোনেশিয়া কলম্বিয়া ও পেরুতে সুনামি-সতর্কতা জারি করা হয়। রয়টার্স।
১৯০৬ সালের ৩১ জানুয়ারি: ইকুয়েডর ও কলম্বিয়ায় ভূমিকম্প এবং সুনামিতে অন্তত এক হাজার মানুষের মৃত্যু হয়। ভূমিকম্পের তীব্রতা৮ দশমিক ৮। মধ্য আমেরিকা, সানফ্রানসিসকো ও জাপান পর্যন্ত এ ভূকম্পন অনুভূত হয়।
১৯৫২ সালের ৪ নভেম্বর: রাশিয়ায় ৯ দশমিক শূন্য মাত্রার ভূমিকম্প ও সুনামি আঘাত হানে। এর তীব্রতা হাওয়াই দ্বীপ পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু কোনো মানুষ হতাহত হয়নি।
১৯৫৭ সালের ৯ মার্চ: আলাস্কায় ৮ দশমিক ৬ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে। এর পরপরই উমনাক দ্বীপের ভিসেভিডোফ আগ্নেয়গিরির ২০০ বছর পর অগ্ন্যুৎপাত হয়। এ সময় অন্তত ৫০ ফুট উঁচু সুনামি হাওয়াই দ্বীপে আছড়ে পড়ে।
১৯৬০ সালের ২২ মে: চিলির সান্তিয়াগো ও কনসেপশন শহরে ৯ দশমিক ৫ তীব্রতার ভূমিকম্প আঘাত হানে। এ সময় উপকূলীয় অঞ্চলে জলোচ্ছ্বাস ও আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত হয়। এতে পাঁচ হাজার মানুষের প্রাণহানি ঘটে। ২০ লাখ মানুষ ঘরবাড়ি হারায়।
১৯৬৪ সালের ২৮ মার্চ: যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কায় ভূমিকম্প ও সুনামিতে অন্তত ১২৫ জনের প্রাণহানি ঘটে। এতে অন্তত ৩১ কোটি ডলারের ক্ষয়ক্ষতি হয়। ওই ভূমিকম্পের তীব্রতা ছিল ৯ দশমিক ২।
১৯৬৫ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি: আলাস্কায় ৮ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে। এর পরপরই শেমিয়া দ্বীপে অন্তত ৩৫ ফুট উঁচু সুনামি আঘাত হানে।
২০০৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর: ইন্দোনেশিয়ার আচেহ প্রদেশের সুমাত্রা দ্বীপে ৯ দশমিক ১ তীব্রতার ভূমিকম্প আঘাত হানে। এ সময় সুনামিতে ইন্দোনেশিয়া ছাড়াও শ্রীলংকা, থাইল্যান্ড, ভারত ও অন্য নয়টি দেশে অন্তত দুই লাখ ২৬ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়।
২০০৫ সালের ২৮ মার্চ: ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা দ্বীপে ৮ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্প ও সুনামির আঘাতে অন্তত এক হাজার ৩০০ মানুষের প্রাণহানি ঘটে।
২০১০ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি: চিলেতে ৮ দশমিক ৮ মাত্রার ভূম্পিকম্পের আঘাতে পাঁচ শতাধিক মানুষের প্রাণহানি ঘটে। এতে অন্তত তিন কোটি ডলারের ক্ষয়ক্ষতি হয়। হাজার হাজার মানুষ ঘরবাড়ি হারায়।
২০১১ সালে ১১ মার্চ: ৮ দশমিক ৯ তীব্রতার ভূমিকম্প জাপানের উত্তরাঞ্চলীয় উপকূলে আঘাত হানে। যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ বিভাগ সূত্রে জানায়, এর উৎপত্তি স্থল ছিল হনশু দ্বীপের প্রায় ৮১ মাইল পূর্বে সেনদাইয়ের অন্তত ১৫ দশমিক ১ মাইল গভীরে। ভূমিকম্পের পরপরই দেশটির উপকূলীয় অঞ্চলে ১০ মিটার উঁচু সুনামি হয়। জাপান ছাড়াও ফিলিপাইন, তাইওয়ান, ইন্দোনেশিয়া কলম্বিয়া ও পেরুতে সুনামি-সতর্কতা জারি করা হয়। রয়টার্স।
সূত্রঃ প্রথম আলো
তীব্র ভূমিকম্প ভয়াল সুনামি
জাপানের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে গতকাল শুক্রবার প্রচণ্ড ভূমিকম্পের পর সুনামিতে ভেসে গেছে সমুদ্র উপকূলের জনপদ। নিহত হয়েছে কয়েক শ মানুষ, নিখোঁজ রয়েছে আরো অনেকে। ইউএস জিওলজিক্যাল সার্ভের (ইউএসজিএস) হিসাবে রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৮.৯। এর প্রভাবে প্রায় ৩৩ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস জাপান উপকূলে আঘাত হানে। রাষ্ট্রীয় এনএইচকে টেলিভিশনে সম্প্রচারিত ছবিতে দেখা গেছে, পানির তোড়ে গাছপালা, যানবাহন এমনকি বাড়িঘর খেলনার মতো ভেসে যাচ্ছে। ভয়াবহ ভূমিকম্প ও পরবর্তী সুনামির আঘাতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে দেশটির জনজীবন। যাত্রীবাহী একটি ট্রেন এবং রাজধানী টোকিওসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার গুরুত্বপূর্ণ বেশ কিছু স্থাপনায় আগুন জ্বলতে দেখা গেছে। ইচিহারা শহরে আগুন লেগেছে একটি তেল শোধনাগারে। ভূমিকম্পের পর সুনামিতে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয় মিয়াগি অঞ্চলের সেনদাই উপকূল। সেখানে সাগরতীরে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে অনেক মৃতদেহ। ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়েছে অনেকে। জাপান উপকূলে শক্তিশালী ভূমিকম্পের পর দক্ষিণ আমেরিকা, কানাডা, আলাস্কা, যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিম উপকূলসহ প্রশান্ত মহাসাগর তীরবর্তী বিভিন্ন অঞ্চলেও সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়। তবে ওই সব অঞ্চল থেকে ক্ষয়ক্ষতির কোনো খবর এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।
স্থানীয় সময় বিকেল পৌনে ৩টার দিকে জাপানের ইতিহাসে সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। এর উৎপত্তিস্থল ছিল সেনদাই উপকূল থেকে ১৩০ কিলোমিটার পূর্বে এবং মহাসাগরের তলদেশের ২৪ কিলোমিটার গভীরে। ইউএসজিএস প্রাথমিকভাবে ভূমিকম্পের মাত্রা ৭.৯ বলে জানালেও পরে তারা জানায়, রিখটার স্কেলে এর প্রকৃত মাত্রা ছিল ৮.৯। ভূমিকম্পের পর অন্তত ১৯টি প্রত্যাঘাতের (আফটার শক) ঘটনা ঘটে। এর প্রায় এক ঘণ্টা পর ৩৩ ফুট উচ্চতার সুনামি আছড়ে পড়ে সেনদাইসহ জাপানের বিভিন্ন উপকূলে।
এনএইচকে টেলিভিশনের সরাসরি সম্প্রচারে দেখা যায়, মিয়াগির সব কিছু ভাসিয়ে নিয়ে যাচ্ছে প্রশান্ত মহাসাগর থেকে ধেয়ে আসা পানির স্রোত। সেনদাই বিমানবন্দরের টারমার্কের কয়েকটি ছোট উড়োজাহাজও ভেসে যায় জলোচ্ছ্বাসে। পানি নেমে যাওয়ার পর ধ্বংসস্তূপের নগরীতে পরিণত হয় সেনদাই। শহরের কেন্দ্রস্থলে উল্টানো অবস্থায় পড়ে ছিল জাহাজসহ বড় বড় নৌযান। স্রোতের ফিরতি টানে নিমিষেই মহাসাগরে ভেসে যায় বাড়িঘরের ধ্বংসাবশেষ। প্রাণ বাঁচাতে লড়াই করা অনেক মানুষও তখন অসহায়ের মতো মৃত্যুর কাছে নিজেদের সমর্পণ করে। পানি নেমে যাওয়ার পর আগুন জ্বলতে দেখা যায় অনেক ভবনে। ভূমিকম্প ও সুনামি আঘাত হানার পর উদ্ধার তৎপরতা শুরু করে জাপানের সেনাবাহিনী ও পুলিশ। কর্তৃপক্ষের আশঙ্কা, উপকূলে সুনামির আঘাত এবং দেশজুড়ে ভূমিকম্পে বহু লোক হতাহত হয়েছে। জলোচ্ছ্বাসের পর সেনদাই উপকূলে প্রায় ৩০০ মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখা গেছে বলে স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে। ওই এলাকার আরো ১৩৭ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে পুলিশ। নিখোঁজ রয়েছে ৫৩১ জন। তাদের অনেকেই পানির তোড়ে সাগরে ভেসে গেছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সেনদাই থেকে ইশহিনোমাকি অভিমুখে যাত্রা করা একটি যাত্রীবাহী ট্রেন সুনামির পর থেকে নিখোঁজ রয়েছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। এ ছাড়া শখানেক যাত্রীসহ একটি জাহাজ সাগরে সুনামির তোড়ে পড়ে বলে জানা যায়।কর্তৃপক্ষ বলেছে, ক্ষয়ক্ষতির পুরো হিসাব পেতে কয়েক দিন লাগবে। জাপানের প্রধানমন্ত্রী নাওতো কান এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, ভূমিকম্প ও সুনামির কারণে দেশের উত্তরাঞ্চল ভয়বহ বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে। সরকারের এক কর্মকর্তা বলেন, ধ্বংসের মাত্রা এতটাই ব্যাপক যে, তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষতি নিরূপণ করা সম্ভব নয়। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ১৯০০ সালের পর ১৫টি শক্তিশালী ভূমিকম্পের মধ্যে একটি ছিল গতকালেরটি। এর বিধ্বংসী ক্ষমতা গত মাসে নিউজিল্যান্ডের ভূমিকম্পের চেয়ে আট হাজার গুণ বেশি ছিল।
শক্তিশালী ভূমিকম্পের পর জাপানের সব বিমানবন্দর বন্ধ করে দেওয়া হয়। রাজধানী টোকিওতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে। সেখানকার অন্তত ৪০ লাখ বাড়ির বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। গ্যাস সরবরাহ লাইনে বিস্ফোরণের ফলে প্রায় ৮০টি ভবনে আগুন ধরে যায়। বন্ধ রয়েছে বুলেট ট্রেন সার্ভিস। টোকিওতে রাতের শীতল আবহাওয়ার মধ্যে রাস্তায় অবস্থান করছিল হাজার হাজার আতঙ্কিত মানুষ। অনেকে শহর ছেড়ে যাওয়ার চেষ্টা করায় রাস্তায় ছিল প্রচণ্ড যানজট। টোকিওর সিটি হল, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস এবং বিভিন্ন সরকারি ভবনে ৩৩টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। তবে ভূমিকম্পের বড় ধরনের প্রত্যাঘাতের আশঙ্কায় অনেক মানুষ সেসব কেন্দ্রে যায়নি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভূমিকম্পটি ছিল জাপানের ইতিহাসে সবচেয়ে শক্তিশালী। তবে দেশটির ভবনগুলো ভূমিকম্প সহনশীল করে নির্মিত হওয়ায় ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা সে তুলনায় কমই হয়েছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের সাংবাদিক লেন্ডা সিয়েগ জানান, বেশ কিছু সময় ধরে ভূকম্পন অনুভূত হয়। আতঙ্কিত লোকজন দ্রুত ভবন থেকে রাস্তায় বের হওয়ার চেষ্টা করে। অনেকে মাথায় হেলমেট পরে টেবিলের নিচে আশ্রয় নেয়। লিন্ডা বলেন, 'জাপানে গত প্রায় ২০ বছর আমার অবস্থানকালের মধ্যে এতটা বিপর্যয়কর অবস্থার মুখোমুখি হইনি।'
মিয়াগির ওনাগাওয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে আগুন ধরে যাওয়ায় প্রধানমন্ত্রী নাওতো কান রাষ্ট্রীয় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন। জাপানের কিয়োদো নিউজ জানায়, বিদ্যুৎকেন্দ্রের টারবাইন ভবন থেকে আগুনের শিখা প্রায় ৩০ ফুট উচ্চতায় উঠতে দেখা গেছে। তবে কেন্দ্রটি থেকে তেজস্ক্রিয়তা নিঃসরণের তাৎক্ষণিক কোনো খবর পাওয়া যায়নি। ওই এলাকার আশপাশের লোকজনকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে সরকার। দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সম্ভাব্য যেকোনো ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য তেজস্ক্রিয়দূষণ ঠেকাতে সক্ষম একটি সেনাদল প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সংবাদদাতারা জানান, ফুকুশিমা শহর এবং আরো একটি এলাকার দুটি পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রেও সমস্যা দেখা দিয়েছে।
জাপানের ভূমিকম্পের পর প্রশান্ত মহাসাগরের বিস্তৃত উপকূলজুড়ে সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়। তাইওয়ানের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সুনামির মৃদু একটি ঢেউ দেশটির উপকূলে পেঁৗছেছে। তবে এর উচ্চতা ছিল মাত্র চার ইঞ্চির মতো। যুক্তরাষ্ট্র সরকার সুনামির সম্ভাব্য আঘাত হানার আশঙ্কায় ক্যালিফোর্নিয়া, আলাস্কা ও হাওয়াই দ্বীপে সতর্কতা জারি করে। ওই সব এলাকার উপকূল থেকে লোকজনকে সরিয়ে নেওয়া হয়। নিউজিল্যান্ড সরকার সতর্কতা জারি করলেও জানায়, তাদের উপকূলে শক্তিশালী
সুনামির আঘাত হানার আশঙ্কা নেই।
সূত্র ঃ কালের কণ্ঠ
0 comments:
Post a Comment